আগামী ১১ আগস্ট থেকে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে খুলনাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। আর এদিন থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে যাবে বিভিন্ন রুটের ট্রেন। স্বাস্থ্যবিধি ও বিভিন্ন শর্ত মেনে দুইটি ট্রেন বাদে সব রুটে চলবে ট্রেন। স্টেশনে মিলবে না আন্ত:নগর ট্রেনের টিকিট, বন্ধ থাকবে কাউন্টার। তবে নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে ক্রয় করতে হবে। আর চলমান লকডাউন আগামী ১০ আগস্টের পর বর্ধিত করা হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- অনলাইনে বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে ক্রয় করতে হবে। টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। যাত্রার পাঁচদিন আগে সব অগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমনিচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
খুলনা রেলস্টেশনের মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, আগামী ১১ আগস্ট সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বন্ধ থাকবে বেনাপোলগামী বেতনা এবং রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ ট্রেন। এছাড়া চিত্রা, সুন্দরবন, রূপসা, সীমান্ত, সাগরদাড়ী এই পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া সকল লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে, যার পুরোটাই দেওয়া হবে অনলাইনে। বন্ধ থাকবে কাউন্টার। তবে লোকাল ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে স্টেশনে এসেই টিকিট কিনতে পারবে যাত্রীরা।